"সরোজ সারগম মির্জাপুর"- ইউটিউব চ্যানেলের গায়িকা বিরুদ্ধে FIR ও আটক

সরোজ সারগম একজন ইউটিউবার এবং বিরহ গায়িকা। তিনি তার ইউটিউব চ্যানেল "সরোজ সারগম মির্জাপুর"-এ বেশ কয়েকটি হিন্দি গানের ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো মূলত হিন্দু জাতি সূচক, শাস্ত্রনিন্দা, ধর্মীয় উস্কানি ও হিন্দু দেবদেবীদের গালিগালাজ দিয়ে ভরা। 

সম্প্রতি, একটি ভিডিওতে সরোজ সারগম দেবী দুর্গার জন্য "বেশ্যা" এবং "হত্যাকারী" শব্দ ব্যবহার করেছেন, যার ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আহত হয়েছে। এই বক্তব্যের ভিত্তিতেই নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

FIR ও পুলিশের শিথিলতা ক্ষুব্ধ জনগণ।

তার এই সকল অসাংবিধানিক কাজের জন্য মির্জাপুর থানায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছয়টি এফ.আই.আর দায়ের করে। কিন্তু, পুলিশের শিথিল পদক্ষেপ জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। পরবর্তীতে, ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মানুষরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী ট্রেন্ড চালিয়ে, অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে শুরু করে। আবারও এফ.আই.আরের দাবী ওঠে। 

এর প্রতিক্রিয়ায় তার ক্ষোভ বেড়ে যায়, সরোজ সারগম আরেকটি ভিডিও আপলোড করে যেখানে তিনি দেবী দুর্গাকে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা পরিহাস করে। এই ভিডিওটি জনসাধারণের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

সরোজ সারগম এবং র স্বামী গ্রেপ্তার 

এরপর গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫), মির্জাপুর পুলিশ সরোজ সারগম এবং তার স্বামী রামমিলন বিন্দকে গ্রেপ্তার করে।

মির্জাপুর পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন সরোজ সারগম এবং তার স্বামী বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন।

সূত্রের খবর হিন্দু দেবদেবীদের অপমানকারী গায়িকা সরোজ সারগম এবং তার স্বামী রাম মিলন বিন্দ ১০ মাস আগে ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ তাদের ধর্মান্তরের প্রমাণ উদ্ধার করেছে। 

কিন্তু নিজেকে হিন্দু দলিত সম্প্রদায়ের পরিচয় দিয়ে আম্বেদকর ও বুদ্ধের দোহাই দিয়ে হিন্দু ধর্মের দেব দেবী ও সমাজ ব্যবস্থাকে কটু বাক্য দ্বারা আক্রমন করতে থাকে।

বন বিভাগের ১৫ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখলের আরোপ:

মির্জাপুর পুলিশের FIR অনুসারে, সরোজ সরগম এবং তার স্বামী রামমিলন বিন্দ প্রয়াগরাজের গড়ওয়া গ্রামে বন বিভাগের ১৫ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করে কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করছিলো।

নেতার নির্দেশে হিন্দু দেব-দেবীদের গালিগালাজ

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে ওই মহিলা সীতাপুর-যাদব শক্তি ম্যাগাজিনের সম্পাদক এবং বহুজন নায়ক মহিষাসুর বইয়ের লেখক ও নেতা রাজবীর সিং যাদবের নির্দেশে হিন্দু দেব-দেবীদের গালিগালাজ করে ভিডিও তৈরি করছিলেন।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, একেবারে সংগঠিত ভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবেই ধর্মের নামে রাজনৈতিক প্রচার হচ্ছে। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Advertisement