Headlines
Loading...
রাবিশ কুমারের দুঃখ

রাবিশ কুমারের দুঃখ



গতকাল হোলি উৎসব পালন করা হয়েছে। তার আগে ছিল দোল উৎসব। বলা হয়, হিন্দুদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কিন্তু, এই পার্বণ গুলোতে প্রতি বছর কোনো না কোনো অপ্রিয় ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। কোথাও মাতাল হয়ে দুর্ঘটনা হয়, কোথাও মারপিট, তো কোথাও জোর জবরদস্তি করে রং মাখানোর ওপর বিবাদ। এই সব বিবাদের পরেও যখন সব কিছু ভালো ভাবেই হয়। তখন কিছু কিছু মাথা মোটা  ভদ্রলোক আছে, যারা প্রশ্ন এই ভাবে এত ভালো করে উৎসব পালন করা হলো কেন? অন্য ভাবেও তো করা যেতো। আজ এরকম একজনের কথা আপনাদের বলবো 

রাবিশ কুমারের দুঃখ ।

 ভদ্রলোকের অনেক বয়স হয়েছে। তিনি প্রথমে NDTV তে কাজ করতেন। প্রাইম টাইম বলে একটি প্রোগাম করতেন। তিনি দেশের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতেন। তাঁর অনেক ফলোয়ার ছিলো এবং তারা সবাই নিজেদের ইন্টেলেকচুয়াল বলেন। 

আর যারা ভদ্রলোকের কথার ভুল বা ফাঁক খুঁজে উত্তর দেয়। তাদের বলা হয় — "অন্ধ ভক্ত" , "গদী মিডিয়া", "WhatsApp University" ইত্যাদি।

এই ভদ্রলোকের দেওয়া তথ্য এবং সম্ভাবনার ওপর দেশের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। শাহীনবাগ, NRC থেকে শুরু করে, ফার্মার প্রটেস্ট। সবেতেই এনার বক্তব্য ছিল অরাজকতা সৃষ্টি কারীদের পক্ষে। অরাজকতার বিরোধ তিনি কখনোই করেননি। বরং সেই অরাজকতার নির্মম দৃশ্যকে দেখিয়ে সে নিজেই সরকারে কাছে এর জবাব দিহি চাইতেন। সে নিজেকে নিরপেক্ষ বললে, কিন্তু তার অন্ধ ভক্তদের চোখে দ্বিচারিতা ধরা পড়ে না।

 নিচের ভিডিওতে ওনার দ্বিচারিতার এই উদাহরণ দেখুন: 

এখানে ভিকটিম যখন একজন মুসলিম এবং আরোপি একজন হিন্দু, এই ভদ্রলোক সেই সুযোগের ব্যবহার করে, হিন্দুদের নাম খারাপ করতে মুসলিম মহিলার নাম বললেন। কিন্তু, যখন আরোপি মুসলিম এবং ভিকটিম হিন্দু। তিনি কৌশল মুসলিম নাম এড়িয়ে হিন্দু ভিকটিমের নাম বললেন না। উল্টে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দিশা নির্দেশে কথা বলে বিষয়ের মোদ্দা পাল্টে ফেললেন। অথচ তিনি বারংবার বলে এসেছেন, ধর্ম দেখে বিচার করা উচিত নয়। 

 ভালো সাজতে গিয়ে ভূত 

এই মহান ব্যক্তি আমাদের দেশের সকল মিডিয়া হাউস, ও নিউস চ্যানেল গুলোকে "গদি মিডিয়া" নাম দিয়ে নিজেকে প্রজাতন্ত্রের স্তম্ভের শিখরে বসাতে চেষ্টা করেছিলেন।  কিন্তু স্তম্ভের শিখরে বেশিক্ষন থাকতে পারেননি। কারণ তিনি প্রথম থেকেই ওই স্তম্ভের গোড়ায় আঘাত করেছেন। 

তিনি তাঁর প্রাইম টাইমে, তাঁর বিপক্ষ দলের আদর্শকে সভ্য কিন্তু কুটিল ভাষায়  ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বা বিদ্বেষমূলক সাংবাদিকতা করতে শুরু করেন। এটি সাংবাদিকের নীতিবিরুদ্ধ এবং পেশাদারিত্বের পরিপন্থী। এমন সমালোচনা সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দেয়। এটি কি তিনি জানতেন না? নাকি জেনে বুঝেই করছিলেন।

অনেক সময় সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে, এবং একটি পত্রিকা বা সংবাদদাতা অন্যদের ভুল ধরিয়ে দিতেই পারেন, যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। তবে সেটি যদি বিদ্বেষ বা ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে যায়, তাহলে তা অশোভন এবং সাংবাদিকতার আদর্শের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ায়। "গদি মিডিয়া" " WhatsApp University News" এরকম শব্দ ব্যবহার করে তিনি শুধু তার পেশাকেই গালি দেননি, বরং তিনি সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি কি নিজেই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করতেন? ওপরের ভিডিওতে দেখতেই পেলেন। এবার একটি হিন্দি ইউটিউব চ্যানেলের বিশ্লেষণ দেখুন।  এই বিষয়ে বক্তা তাঁর বিষয়ে খুব ভালো ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। 

Zee News এর রোহিত সর্দানা তো রাবিশ কুমারের কাপড় খুলেই দিয়েছেন। মিডিয়া হাউসের ঠান্ডা ঘরে বসে কিভাবে মন্ত্রী সভার নির্ণয় করা হতো। 

অর্থাৎ, এ থেকে আমরা দেখছি। আমাদের দেশের নিউস নিরপেক্ষ নয়।

হোলির ওপর মন্তব্য:

Footnotes

    Related Articles

    ৩টি মন্তব্য

    Smart Ads for Smart Businesses Ads by TDads