নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রকৃত মানদণ্ড| The standars of showing respect for women

ভূমিকা: হিন্দু ধর্মে নারীর অবস্থান

হিন্দু ধর্মে নারীদের উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা প্রাচীন বৈদিক সাহিত্য, পুরাণ ও উপনিষদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী—এই সকল দেবী নারীদের শক্তি, জ্ঞান ও সমৃদ্ধির প্রতীক। প্রাচীন ভারতে নারীরা শিক্ষালাভ, ধর্মীয় কার্যক্রম ও সমাজ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। তবে, সময়ের সাথে সাথে সামাজিক পরিবর্তনের ফলে নারীরা অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন।

সতীদাহ, বিধবা নির্যাতন, নারী শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা, এবং যৌতুকের মতো কুপ্রথাগুলো হিন্দু সমাজে নারীদের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। যদিও আধুনিক যুগে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমানাধিকারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবুও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এখনো প্রয়োজন। হিন্দু ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে নারীদের সম্মান ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা গেলেও সমাজ আরও ন্যায়সঙ্গত ও উন্নত করতে হবে।



নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রকৃত মানদণ্ড

নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো মানে শুধু সৌজন্যতা বা ভদ্রতা নয়, বরং তাদের আত্মমর্যাদা, স্বাধীনতা, এবং সমান অধিকারের প্রতি পূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়া। আমার সমাজে নারী যদি অপমানিত লাঞ্ছিত হওয়ার পরও মুখ বুজে সেগুলো সহ্য করে। তবে তাকে নারীই। প্রীতি সম্মান বলা হবে না।

সমাজে নারীদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ—


১. নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা স্বীকার করা

নারী এবং পুরুষ উভয়ের মধ্যে সাম্যতা স্বীকার করাই প্রকৃত সম্মানের মূল ভিত্তি। এর অর্থ হলো—
✔নারীদের মতামত, সিদ্ধান্ত এবং বুদ্ধিমত্তাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া।
✔ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে (শিক্ষা, কর্মসংস্থান, রাজনীতি) তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া।
✔ নারীদের শুধুমাত্র "মা", "বোন" বা "স্ত্রী" হিসেবে নয়, একজন স্বাধীন ও সক্ষম ব্যক্তি হিসেবে দেখা।


২. নারীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে স্বীকার করা

একজন নারী তার নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখেন। এটি বোঝায়—

তারা কী পরবেন, কী করবেন, কীভাবে জীবনযাপন করবেন—এটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একজন নারী যদি চাকরি করতে চান বা না চান, সংসার করতে চান বা না চান, সেটি তার ব্যক্তিগত পছন্দ, সমাজের নয়। তাদের ওপর মতামত চাপিয়ে না দেওয়া বা বাধ্য নয়।


৩. নারীদের প্রতি বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা

নারীদের শুধুমাত্র সৌন্দর্য বা গৃহস্থালির কাজের জন্য মূল্যায়ন করা উচিত নয়। তাই—

✔ নারীদের শুধুমাত্র শারীরিক সৌন্দর্যের নিরিখে বিচার না করা।  বিজ্ঞাপন, সিনেমা বা সমাজে নারীদেরকে "বস্তু" হিসেবে উপস্থাপন করা বন্ধ করা উচিত। কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা কর্তব্য।


৪. সম্মতির (Consent) প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া

সম্মান অর্থ কেবল মুখে ভালো কথা বলা নয়, বরং নারীদের সিদ্ধান্ত ও সীমারেখা মেনে চলা। যেমন,  কোন কিছু করার আগে একজন নারীর অনুমতি নেওয়া জরুরি (শারীরিক, মানসিক বা ব্যক্তিগত কোনো বিষয় হোক না কেন)। যদি তারা "না" বলেন, তবে সেটাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। ব্যক্তিগত বা সামাজিক ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তি না করা।


৫. সমান সুযোগ ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ নিশ্চিত করা

সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সমান মজুরি ও সুযোগ নিশ্চিত করা। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। 


৬. নারীদের প্রতি যে কোনো অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া

সমাজে নারীরা অনেক সময় অন্যায়ের শিকার হন, এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন হয়রানি বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। পরিবার ও সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কর্মক্ষেত্র, রাস্তাঘাট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হয়রানি বন্ধ করা।


৭. মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্মান প্রদর্শন করা

নারীদের শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সম্মান করা জরুরি।
✔ তাদের মতামত শোনা এবং গুরুত্ব দেওয়া।
✔ তাদের চিন্তা-ভাবনা বা আবেগকে গুরুত্বহীন বলে উপেক্ষা না করা।
✔ "নারীরা বেশি আবেগপ্রবণ" বলে তাদের অনুভূতিগুলোকে তুচ্ছ করে না দেখা।


৮. রুচিশীল ভাষা ব্যবহার করা এবং নারীদের অসম্মানজনক শব্দ পরিহার করা

নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি বড় অংশ হলো, তাদের সম্পর্কে শালীন ও রুচিশীল শব্দ ব্যবহার করা। নারীদের ছোট করতে বা অপমান করতে গালি বা কটূক্তি না করা।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা বাস্তব জীবনে নারীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা। হাসি-ঠাট্টার নাম করে নারীদের অসম্মান করা থেকে বিরত থাকা।


নারীদের প্রতি সম্মান আমাদের পাশ্চাত্য দেশ থেকে শিখতে হবে না। আমাদের সংস্কৃতিতেই নারীকে মাতৃ রূপে গ্রহন করার শিক্ষা আছে।

হিন্দু ধর্মে নারীদের সম্মান সম্পর্কে ধারণা

হিন্দু ধর্মে নারীদের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ স্থানে রাখা হয়েছে। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে পুরাণ, উপনিষদ এবং অন্যান্য শাস্ত্রে নারীদের সম্মান ও গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সময়ের সাথে সাথে সামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হয়েছে, মূল হিন্দু দর্শনে নারীদের শক্তি, জ্ঞান, এবং মাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।


১. দেবী শক্তিরূপে নারীর অবস্থান

হিন্দু ধর্মে নারীদের ঈশ্বরের রূপে পূজা করা হয়। নারীরা শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
মা দুর্গা – শক্তির প্রতীক, অসুর দমনকারিণী।
মা লক্ষ্মী – ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির দেবী।
মা সরস্বতী – জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী।
মা অন্নপূর্ণা – খাদ্য ও পুষ্টির দেবী।
মা কালী – শক্তি ও ন্যায়ের রক্ষাকারিণী।

এ থেকেই বোঝা যায়, হিন্দু ধর্মে নারীদের শুধু সৃষ্টির অংশ হিসেবে নয়, বরং শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।


২. শ্রুতি ও স্মৃতিতে নারীর অবস্থান

বেদ, উপনিষদ এবং স্মৃতিশাস্ত্রে নারীদের সম্মান সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।

"যেখানে নারীদের সম্মান দেওয়া হয়, সেখানে দেবতারা অবস্থান করেন।"
("Yatra naryastu pujyante ramante tatra devataah" – মনুস্মৃতি ৩.৫৬)

— এটি স্পষ্ট করে যে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ধর্মীয় কর্তব্য। যেখানে নারীদের অসম্মান করা হয়, সেখানে সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।


৩. স্ত্রীধর্ম ও নারীর ক্ষমতায়ন

প্রাচীনকালে নারীরা ব্রহ্মচারিণী হতে পারতেন, তারা বেদ অধ্যয়ন করতেন এবং তর্ক বিতর্কে যোগদান করতেন। গার্গী, মৈত্রেয়ী, লোপামুদ্রা – এঁরা প্রাচীন ভারতের মহীয়সী নারী, যাঁরা ধর্ম, দর্শন এবং সমাজ বিজ্ঞানের উপর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

 নারীকে শুধু স্ত্রী বা জননী হিসেবে নয়, বরং একজন স্বাধীন চিন্তাবিদ হিসেবে গৃহীত করা হয়েছে।


৪. বিবাহ ও নারীর সম্মান

 বৈদিক যুগে নারীদের স্বামী নির্বাচনের স্বাধীনতা ছিল (স্বয়ংবর প্রথা)। বিবাহকে হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র বন্ধন হিসেবে দেখা হয়, যেখানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সহায়ক। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে: "স্ত্রী বিনা গৃহ অন্ধকার" (স্ত্রী ছাড়া সংসার শূন্য)।


৫. কালী ও দুর্গা – নারী শক্তির প্রতীক

 মা দুর্গা শুধু মঙ্গলময়ী নন, তিনিই অসুর দমন করেন। মা কালী, যিনি মহাশক্তির প্রতীক, তিনিই সকল অন্ধকার ও অন্যায় ধ্বংস করেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রতিরক্ষা হিন্দু ধর্মের এক প্রধান বৈশিষ্ট্য।


৬. সমাজ পরিবর্তনের সাথে নারীদের অবস্থান

যদিও মধ্যযুগে সমাজ নারীদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়ে উঠেছিল, মূল হিন্দু শাস্ত্র নারীদের উচ্চ মর্যাদার কথা বলে। বর্তমান যুগে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সিদ্ধান্তগ্রহণের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।


"যদি তুমি সত্যিকার অর্থে নারীদের সম্মান করতে চাও, তবে তাদের সমান মর্যাদা দাও, তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।"

হিন্দু ধর্মে নারীদের অবস্থানের নেতিবাচক দিক

যদিও হিন্দু ধর্মের মূল গ্রন্থ ও দর্শনে নারীদের অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, তবে সামাজিক ও ঐতিহাসিক বাস্তবতায় নারীরা সবসময় সেই সম্মান ও অধিকার পাননি। বিশেষ করে মধ্যযুগ এবং আধুনিককালে কিছু নেতিবাচক দিক লক্ষ্য করা যায়—


১. বৈদিক যুগের পর নারীদের অধিকার সংকুচিত হওয়া

প্রাচীন বৈদিক যুগে নারীরা শিক্ষা, ধর্মীয় অনুশীলন, এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পেতেন।কিন্তু পরবর্তী কালে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে নারীদের শিক্ষার সুযোগ কমে যায়।

২. সতীদাহ প্রথা

মধ্যযুগে নারীদের প্রতি চরম অবিচারের একটি রূপ ছিল সতীদাহ প্রথা, যেখানে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকেও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো। যদিও এটি বৈদিক শাস্ত্র দ্বারা সমর্থিত নয়, তবুও এটি দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত ছিল। রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ সরকার এই প্রথা নিষিদ্ধ করে।

৩. বিধবা নারীদের প্রতি বৈষম্য

হিন্দু সমাজে বিধবা নারীদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হতো। অনেক সময় বিধবাদের সামাজিক জীবন থেকে একঘরে করে রাখা হতো, তাদের পুনর্বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল। বিধবাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হতো।

৪. কৌমার্য ও নারী সতীত্বের প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব

সমাজে নারীদের সতীত্ব এবং কৌমার্যের প্রতি অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে, যা পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। নারীদের সতীত্বের ধারণা এতটাই কঠোর করা হয়েছে যে, অনেক সময় এটি তাদের সামাজিক অবস্থান নির্ধারণ করে। পতিব্রতা নারীর ধারণা প্রচার করা হয়েছে, যেখানে স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত থাকতে বলা হয়েছে, কিন্তু পুরুষদের জন্য এমন কোনো কঠোর নিয়ম নেই।

৫. নারী শিক্ষার প্রতি বাধা

প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলিতে নারী শিক্ষার প্রসঙ্গ থাকলেও, মধ্যযুগের পর নারীদের শিক্ষার সুযোগ কমে যায়। যদিও অনেক পণ্ডিত এটিকে পরবর্তীকালের সংযোজন বলে মনে করেন, তবে এটি নারী শিক্ষার পথ রুদ্ধ করেছে।

৬. যৌতুক প্রথা ও নারীদের প্রতি সহিংসতা

 যুগের সাথে সাথে যৌতুক প্রথা হিন্দু সমাজের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্ম হওয়া অবাঞ্ছিত মনে করা হয়, কারণ তাদের বিয়ের জন্য যৌতুক দিতে হয়। নারী নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন অনেক নারী। তবে বর্তমানে যৌতুক প্রথা নামমাত্র।

উপসংহার

হিন্দু ধর্মে নারীদের সম্মান দেওয়া শুধুমাত্র সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি ধর্মীয় কর্তব্য। প্রকৃতপক্ষে, নারী শক্তি ছাড়া বিশ্ব অচল। তাই যেখানে নারীদের সম্মান দেওয়া হয়, সেখানেই সত্যিকারের ধর্মের চর্চা হয়।

"যেখানে নারীকে সম্মান করা হয়, সেখানে স্বয়ং ঈশ্বর বিরাজ করেন।"
"নারী শক্তির প্রতীক, সৃষ্টি ও সংহার উভয়ের ধারক।"

নারীদের প্রতি সম্মান মানে শুধুমাত্র সৌজন্যতা দেখানো নয়, বরং তাদের সমান মর্যাদা, অধিকার এবং স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া। নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হলে—তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে চলা, সম্মানজনক আচরণ করা এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সত্যিকারের উন্নত সমাজ গঠনের জন্য, আমাদের প্রত্যেককে নারীদের প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। এটাই হিন্দু ধর্মের মূল শিক্ষা।

যদিও হিন্দু ধর্ম নারীদের উচ্চ মর্যাদা দিয়েছে, তবুও কিছু সামাজিক ও ঐতিহাসিক কারণে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ গড়ে উঠেছে। তবে, সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে, এবং নারীরা আবার তাদের অধিকার ও মর্যাদা ফিরে পাচ্ছেন।

"নারী শুধু দেবী নন, তিনি মানুষও—তাই তাকে সমান মর্যাদা দিতে হবে।"
"শুধু ধর্মগ্রন্থে নয়, বাস্তব জীবনেও নারীদের প্রকৃত সম্মান দিতে হবে।"

তুমি কী মনে করো? হিন্দু সমাজে নারীদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত? 😊



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds

Advertisement

Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds