আবেস্তা: যেখানে শয়তান অঙ্গীরা মুনি

Avesta Where Satan is Angira Muni

আবেস্তায় যেখানে শয়তান অঙ্গরা মাইনু (Angra Mainyu) -র কথা বলা হয়েছে। সেই অঙ্গীরা মাইনু কি হিন্দু অঙ্গীরা মুনির অপভ্রংশ?  সেখানে বলা হয়েছে কেবল আহুরাদের (বিশেষ করে আহুরা মাজদাকে) শ্রদ্ধা জানাতে এবং দায়েবাদের তিরস্কার করতে। এই আহুরা আর দায়েবা আসলে কি অসুর এবং দেবতা?  আসুন দেখি কি সম্পর্ক আছে বেদ এবং আবেস্তায়।

ধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস 

মানুষ মনুর সন্তান বা যারা মনুর অনুসারী তারা মানুষ নামে পরিচিতি। সায়ম্ভু মনু হলেন প্রথম মনু যিনি ছিলেন ব্রহ্মার ডান অঙ্গ থেকে উৎপন্ন। অর্থাৎ স্রষ্টার প্রতিবিম্ব। তারপর, প্রতি মন্বন্তরে ভিন্ন ভিন্ন রাজারা মনু পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। যেমন, এই স্বেত বরাহ কল্পের রাজা বিবস্বান মনু হলেন বর্তমান মনু। প্রলয়ের সময় এই বিবস্বান মনুকেই ভগবান বিষ্ণু মৎস্য অবতারে দেখা দিয়েছিলেন। বিবস্বত পুত্র বিবস্বনের পুত্র ইক্ষাকু বংশ তাঁর পুত্র রাজা ইক্ষকুর নাম থেকে আসে। বর্তমানের উওর প্রদেশের সরয়ু নদীর তীরে কোষল রাজ্য ছিলো।

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে শাক্য জনগোষ্ঠীর জনপদ কোশল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থ অঙ্গুত্তরনিকায় ও জৈন ধর্মগ্রন্থ ভগবতি সূত্র অনুসারে খৃস্টপূর্ব ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে কোশল রাজ্য উত্তর ভারতের ষোল মহাজনপদ গুলোর অন্যতম রাজ্য ছিলো। ত্রেতা যুগে শ্রী রামের প্রো-পিতামহ মহারাজা দিলীপের পুত্র অজ এর নাম থেকে অযোধ্যা নগরী স্থাপন হয়।

রামায়ণ যুগে প্রণীত রামায়ণ মহাকাব্যে আমরা অসুর, দেবতা, দানব, পিশাচ, নিশাচর, যক্ষ, রাক্ষস শব্দ গুলো পাই। যেখানে রাবণ নিজেই ঋষি বিশ্বশ্রবা এবং মাতা কৈকসীর পুত্র ছিলেন।  পুলস্ত্যের পুত্র বিশ্বশ্রবার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ভরদ্বাজ মুনি তাকে তা নিজকন্যা দেববর্ণিনীকে অর্পণ করেন, অর্থাৎ বিবাহ দেন। বিশ্রবার ঔরসে দেববর্ণিনীর গর্ভে কুবের নামক এক পুত্রসন্তান জন্মলাভ করে৷ তিনিই ছিলেন স্বর্ণলঙ্কার আসল রাজা এবং দেবসম্পত্তি ও ধনৈশ্বর্যের দেবতা।রাক্ষসদের রাজা সুমালীর কন্যা কৈকসী আরেক নাম নিকষা। আফ্রিকায় Somalia বলে একটি জায়গা আছে। 

বর্তমানে সোমালিয়ার বেশীর ভাগ মানুষই মুসলিম। কিন্তু যারা মূলত আদিম সোমালিয়ান তারা যাযাবর প্রকৃতির। সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে এদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র‌্যবোধ প্রখর এবং প্রায়ই প্রতিবেশী গোত্রে গোত্রে রক্তাক্ত সংঘর্ষ বাঁধে। ইসলাম সম্পর্কে এদের ধারণা স্বচ্ছ নয় এবং মূলত প্রাচীন পূজাতেই সীমাবদ্ধ। তারাও সুখ, ধণ, সমৃদ্ধির দেবতাদের পূজা করে। তবে সেই দেবতারা বৈদিক ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ নয়। তাদের নাম হলো। শাঙ্গো (বজ্র এবং আগুনের দেবতা), আলা( উর্বরতার দেবী), হুবাল বা বাল ইত্যাদি।

অসুর সংস্কৃতি 

আসিরীয় একটি প্রধান প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতা যা খ্রিস্টপূর্ব 21 শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব 14 শতক পর্যন্ত একটি নগর-রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল বলে অনুমান করা হয়। নমরুদ নামক একটি শহর বিদ্যমান ছিল। পারস্য 'আসুর', তাঁদের ভাষায় এর অর্থ City of God

সমস্যা হলো আমরা যাকে দেবতা বলি, তারা বলে দেবিল বা ডেভিল। আমরা যাকে অসুর বলে ডাকি, তারা তাঁকে ঈশ্বর বলে ডাকে। তাই, তারা হলো অসুর সংস্কৃতি এবং আমরা হলাম দেব সংস্কৃতি। কিভাবে? 

আমরা জানি যে ঋষি কশ্যপের স্ত্রী দনু ছিলেন দানবের মাতা আবার এই একই নাম আইরিশ এবং রিমান পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া যায়। দেনু, দিয়ানা, অনু, ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই দেবী সেখানে চাঁদ, উর্বরতা, যুদ্ধ এবং বন্য পশুদের দেবী। রোমান ও গ্রীক দেবী ডায়ানা যে  ঋষি কশ্যপের স্ত্রী দনুই ছিলেন, তাঁতে কোনো সন্দেহ নেই। রোম ও গ্রীক দেবী দেবতার অনেক পড়ে এসেছে। ইরানে প্রাচীণ জোরওয়াস্ত্রিয় ধর্ম  তাঁর থেকেও প্রাচীন।

তাঁদের ধর্ম গ্রন্থ আবেস্তায় বলা হয়েছে কেবল আহুরা মাজদা বা অসুর মহান যিনি সেই ইরানি প্রধান ঈশ্বর তাঁর পূজা পায়। তিনি ইরানি ধর্ম সংস্থাপক জোরোস্ত্রুর মাধ্যমে এর জোরওয়াস্তরিয় ধর্ম প্রচার করেন। তাঁদের ঈশ্বর অগ্নী। অগ্নী পুজা জোরওয়াস্তরিয় ধর্মের প্রথা। তুরেনিয়া বা তুরস্কের সাথে এই ইরানীদের ভালো সম্পর্ক ছিল না। কোনো এক তুরেনিয়া, ধর্ম গুরু জোরোস্ত্রুকে হত্যা করেছে, এমন কথা জোরোস্ট্রিয়ান লোকেরা বলে থাকেন। 

হিন্দু পুরাণ ভবিষ্যৎ পূরণে রাজা জরুথার উল্লেখ করা হয়েছে ঋগ্বেদের 7.9.6 মন্ত্রে "জরুথা" নামক এক শত্রুর কথা উল্লেখ আছে। এখানে বলা হয়েছে বশিষ্ঠ জরাথুকে বধ করতে অগ্নী কে আমন্ত্রণ  করেছে।

त्वाम॑ग्ने समिधा॒नो वसि॑ष्ठो॒ जरू॑थं ह॒न्यक्षि॑ रा॒ये पुरं॑धिम् । 
पु॒रु॒णी॒था जा॑तवेदो जरस्व यू॒यं पा॑त स्व॒स्तिभि॒: सदा॑ नः ॥

শ্লোকটির পূর্ণাঙ্গ অর্থ হচ্ছে:"হে অগ্নি, যিনি সমিধিত হয়ে প্রজ্বলিত হন, আপনি বসিষ্ঠ দ্বারা আহ্বানিত হন। আপনি শক্তিশালী শত্রু (জরুথকে) পরাজিত করুন এবং আমাদের সম্পদ ও সমৃদ্ধি প্রদান করুন।"

এটি একটি মন্ত্র যেখানে প্রার্থনা করা হচ্ছে অগ্নি দেবতার কাছে, শত্রুদের পরাজিত করতে এবং ধন-সম্পদ রক্ষা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

অর্থাৎ, ইরানীদের পূর্ব পুরুষ কোনো না কোনো ভাবে ভারতের বৈদিক সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলো। 

ঋগ বেদের পঞ্চম মন্ডলের বিয়াল্লিশ সূক্তের এগারো নম্বর মন্ত্রে বলা হয়েছে।

तमु ष्टुहि यः स्विषुः सुधन्वा यो विश्वस्य क्षयति भेषजस्य ।
यक्ष्वा महे सौमनसाय रुद्रं नमोभिर्देवमसुरं दुवस्य॥

(হে বিদ্যান) তুমি তাঁর স্তুতি করো যিনি উত্তম ধনুর্ধর, এবং ভেষজ দ্বারা এই বিশ্বের পালন করেন বা ক্ষয় হতে রক্ষা করেন। আনন্দের জন্য (সেই) সোমেশ্বর রুদ্রকে দেব ও অসুর নমন করেন তথা তুষ্ট করতে সেবা করেন।

এই বেদ মন্ত্র থেকে স্পষ্ট যে অসুর এবং দেব উভয় রুদ্রের শিবের উপাসক ছিলেন। তবে বেদ এবং আবেস্তার মধ্যে পার্থক্য একটাই সেখানে দেব কে অহুরার শত্রু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। 

পাশ্চাত্য সমস্ত সেমেটিক ধর্ম যেমন ইসলাম, খ্রীষ্ট এবং ইহুদী ধর্মের অনুসারী শয়তান, দাজ্জাল, হিদান প্রভৃতি অপদেবতার কথা বলে। যারা এক পরমেশ্বরের সরাসরি বিরোধী। কিন্তু জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মে কোনো শয়তান বা অপদেবতা নেই। যে মানুষ সত্য পথে থাকবে তারাই আহুরা। আর যারা বিপথে থাকবে তারা ডিবাস বা দেবা। 

ডিবাস বা দেবা পরবর্তীতে ডিমনস এবং ডেভিলস নাম ধারণ করে। লুসিফার যাহাকে এক সময় পেগনরা দেবতা হিসেব পূজা করতো। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রবর্তনের পর সেই দেবতা লুসিফার হয়ে গেলো শয়তান। 

বাইবেলের কোথাও লুসিফারের বা বিভিন্ন এঞ্জেল দের জন্ম বা উত্পত্তি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তাও সেগুলো অপদেবতা বা Evil spirits বলে প্রচলিত আছে।

এই সব কিছু হলো বাইবেল তথা খ্রিস্টান মিশনারীদের Interpretation। Interpretation হল অন্যথায় কিছু সম্পর্কে  নিজস্ব উপলব্ধি দেখানোর। এই Interpretation এসেছে বাইবেলের পুরোনো নিয়ম ইশায়া 14:12 এবং লুক 10:18 থেকে: 


"আমি দেখেছি তোমার পতন ওহে উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রভাতের পুত্র। তুমি পতিত হয়েছ মাটিতে এবং ধ্বংস করছ রাজ্য।" "তুমি বলেছিলে, 'আমি উত্তোলিত হবো স্বর্গে এবং সিংহাসন স্থাপন করব ঈশ্বরের উপরে। সভাপতিত্ব করব উত্তরে দূর দেবতার পাহাড়ে।" "আমি সর্বোচ্চ স্বর্গে আরোহণ করব এবং পরমেশ্বরের মত হব।"

কিন্তু এটি ছিলো ব্যাবিলনের শেষ স্থানীয় রাজা ছিলেন নাবোনিডাসের উদ্দেশ্যে করা উক্ত, যিনি 556 থেকে 539 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। আচেমেনিড সাম্রাজ্যের মহান সাইরাস দ্বারা ব্যাবিলন জয়ের মাধ্যমে নাবোনিডাসের শাসনের অবসান ঘটে। তাঁর উজ্জ্বল নাম ও সমৃদ্ধ শহর ধুলোয় মিশে যায়। ব্যাবিলন শব্দের অর্থ "ঈশ্বরের রাজ্য"। 

আমাদের হিন্দু বৈদিক ধর্ম পূরণে সুর এবং অসুর উভয় পরস্পরের ভাই, ঋষি কশ্যপের স্ত্রী দিতি ও অদিতির সন্তান। অদিতির সন্তান দেবতা এবং দিতির পুত্ররা দৈত্য।  মাতা দিতি, অদিতি এবং সতী এরা দক্ষ রাজার কন্যা। সতীর বিবাহ হয় মহাদেব শিবের সাথে। সেই শিব যিনি মহাদেব অর্থাৎ দেব মহান, তিনিই অসুর এবং দেবতা উভয়ের আরাধ্য। 

অসুরেরা মহাদেবকে মহান অসুর বা অহুরা মজদা বলতেন এবং আমরা তাঁকে মহাদেব বলে ডাকি। 

দেব সংস্কৃতি 

অসুর এবং দেবতা উভয় পরস্পরের শত্রু হলেও পারস্পরিক সমঝোতা বা চুক্তি করে অনেক কাজই করেছে। যেমন, সমুদ্র মন্থনে পরস্পর থেকে পরস্পরের সাহায্য করেছিলো। ঋষি অঙ্গিরা অগ্নিকে চার ভাগে বিভক্ত করেন। যথা: জঠরাগ্নি,  ভূতগ্নি, চিতাগ্নি, এবং সর্বাগ্নি। তাঁদের যজ়না এবং আমাদের যজ্ঞ একই রকম পবিত্র। 

বৈদিক সংস্কৃতিতে, আগুন বা অগ্নী তত্ত্বকে দেব হিসাবে মূর্ত রূপ প্রদান করা হয়েছে, একজন দুই মুখের দেবতা যিনি একটি মেষে চড়েন। তাঁর দুটি মুখ একটি জীবন দাতা এবং একটি জীবন হরন কারী। 

অগ্নী দেবতার আহুতি

আমাদের এই দেবতা আগুনের প্রতীকী উপস্থাপনা। আমাদের দেহের যে তাপ, সেই তাপ ওই অগ্নী দেবতার যিনি সূর্য নারায়ণ রূপে আমাদের দেহের অগ্নীকে জ্বালিয়ে রেখেছেন। ওই আগুন জ্বলতে না থাকলে আমরা মৃত।

দেহের সেই তাপ তখন বেড়ে যায়, যখন দেহের রক্ত দূষিত হয়। তাই, বারুন এবং পবনকে ভেষজ হোম দ্বারা যত্ন করতে হয়। বারুন এবং পবন অগ্নির ভাই।

না হলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে সবকিছু গ্রাস করতে পারে। আয়ূর্বেদের একই কফ, পিত্ত, এবং বায়ু এই ত্রিদোষ বলে। দেহের বাইরে যখন অগ্নি আমাদের শরীরকে পোড়ায়, তখন তাকে শ্মশান বলে।

দেবতার আরেকটি মুখ হল আমরা রান্না করার জন্য যে আগুন ব্যবহার করছি, যাতে আমরা এমন খাবার খেতে পারি যা অন্যথায় আমাদের জন্য ভোজ্য বা সুস্বাদু হতে পারে না। সেই আগ্নীকে গৃহস্থদের অগ্নী বলা হয়েছে। যজ্ঞের অগ্নী আলাদা, চিতার অগ্নী আলাদা।

আমাদের "আঙ্গীরা মুনি এই অগ্নিতে মৃত দেহ পুড়িয়ে অগ্নিকে অপবিত্র করেছেন"— এই ধারনা নিয়ে জোরোস্ট্রিয়ানরা অঙ্গীরা মাইনু বা অঙ্গীরা মুনিকে শয়তান রূপে বিবেচনা করেন। এর থেকে তাদের কাছে দেবারা অসুর সংস্কৃতি থেকে আলাদা হয়ে গেছে।

আমাদের হিন্দু বৈদিক ধর্ম এই অগ্নিকে বৈদিক যজ্ঞে প্রতিষ্ঠা করেন। পারস্য ওই আগ্নিকে সৃষ্টিরআঙ্গীরা মুনির পুত্র বলেছেন। কারণ, তিনিই অগ্নির তত্ত্ব আবিষ্কার করে অগ্নিকে  মূল উৎস মনে করেন। 

জোরোস্ট্রিয়ানরা এই আহুরা মাজদা (বা শিব) থেকে প্রাপ্ত ওই অগ্নিকে পবিত্র মনে করেন। তাই তারা তাঁদের অগ্নিতে মৃত দেহ দহন করে না। তারা পাহাড়ের উপরে একটা খালি স্থানে মৃত দেহকে কাক পক্ষী দ্বারা ভক্ষণ করায়।

পরিশিষ্ট:

প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার বহু মিল আছে। একেবারে সমান না হলেও সমান্তরাল মিল দেখা যায়। যেমন, বিবস্বান মনু এবং নুহ বা নোহা এরা একই ব্যক্তি। ককেশীয় পর্বত তো পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত নয়। তাহলে পৃথিবী যখন জলমগ্ন হয়েছিল কিভাবে নোহার নৌকা সেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল? অনেকের মতে উওর ভারতের মোনালিতে মনু অর্থাৎ পাশ্চাত্য নুহ এসেছিল। আদম শব্দটি সংস্কৃত ইদম শব্দের অপভ্রংশ। সংস্কৃত ‘ঈদম’ অর্থাৎ এটি। অহম এবং ইদম প্রকৃতি পুরুষের মিলন। ভালো ও মন্দের জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাওয়ার পর আদম এবং ইভ স্বর্গ রাজ্য থেকে পতিত হয়েছে।

তাঁর জ্ঞান বৃক্ষের ফল ও অনন্ত জীবন বৃক্ষের ফল খাওয়ার মাধ্যমে কোথাও না কোথাও শিব ও শক্তির পরা ও অপরা বিদ্যার দেবী রূপক ব্যবহার করেছে।

দেখুন যীশু খ্রীষ্ট যখন তাঁর ইহুদী ভাইদের শয়তানের পুত্র বলেছেন, তিনি আসলে ইহুদীদের নন বরং দেহ বদ্ধ জীবকে বলছেন। কারণ তিনিই বলছেন, ইশ্বরের রাজ্য তোমার অন্তরে। শিশুদের মধ্যে তিনি ঈশ্বরের দেখতে পাচ্ছেন। ব্যাবিলনের নাবোনিডাসের গল্পই ইসলামিক নামরুদ হয়ে গেছে।

অর্থাৎ যেই অদ্বৈত বৈদান্তিক দর্শন ভারতে আলোচিত হয়ে এসেছে। সেই অদ্বৈত বৈদান্তিক সিদ্ধান্ত 2000 বছর আগে পাশ্চাত্য দুনিয়ায় প্রচারিত হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের দেশে দেবতা, অসুর, রাক্ষস, দৈত্য, পিশাচ, নিশাচর, গণ, প্রেত সকলকে আত্মীয় বলেছেন। তাই এই ভালো বা ওই মন্দ, এই জ্ঞান আমাদের ধর্মীয় দর্শনে নেই।

অসুর বা দেবতা একই , শুধু শত্রুতার কারণে ভিন্ন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds

Advertisement

Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds