ঈশ্বরের কি সন্তান থাকতে পারে?

ভূমিকা 

ঈশ্বরের কি সন্তান থাকতে পারে? —এই প্রশ্নের জবাব দিতে আমাদের বিশ্বের তিনটি প্রধান ও সর্ব বৃহৎ ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কারণ এক পক্ষের দাবী অন্য পক্ষকে চ্যালেঞ্জ করবে। সেটা বিচার করেই সমাধান পাওয়া সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো সব তর্ককে যুক্তি দিয়ে বিশ্লেণ করতে। আসুন দেখি ইশ্বরের সন্তান সম্পর্কে কি কি তর্ক রাখা হয়।

Children of God

খ্রিষ্টান সম্প্রদায় যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বর মনে করেন। যিনি মাতা মারিয়ার গর্ভে দৈবিক ভাবে জন্ম গ্রহন করেন এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বরত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি নিজে একজন বানি ইসরাইল ছিলেন। এক্সোডাসে , ইস্রায়েল জাতিকে ঈশ্বরের প্রথমজাত পুত্র বলা হয়েছে। সলোমনকে "ঈশ্বরের পুত্র"ও বলা হয়। ফেরেশতা, ন্যায়পরায়ণ এবং ধার্মিক ব্যক্তি এবং ইস্রায়েলের রাজাদের সবাইকে "ঈশ্বরের পুত্র" বলা হয়। তাই ইহুদীরা নিজেদেরকে ইশ্বরের সন্তান বলে মনে করে। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রও মানুষকে অমৃততস্য পুত্রাঃ  বলেছে শৃন্বন্তু বিশ্বে অমৃততস্য পুত্রাঃ আ যে ধামানি দিব্যানি তস্থূঃ বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তং)। "শোনো হে বিশ্ব তোমরা দিব্যধাম নিবাসী অমৃতের পুত্র। জানিয়েছি আমি বেদের সেই মহত্ পুরুষকে"। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ।

অথচ মুসলিম সম্প্রদায় যীশুকে ঈশ্বর তো দূর থাক, ইশ্বরের সন্তান হিসাবে গণ্য করে না। তারা যিশুকে একজন নবী হিসেবে দেখেন। যেহেতু ইশ্বরের কোনো শরীক (বা partner) নেই। আর মানুষ জন্মগভাবেই পাপী হয়ে জন্মায়। তাঁদের ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী ঈশ্বর মানব রূপে জন্ম নিতে পারে না। কারণ যা কিছু জন্ম নেয় বা মৃত্যু হয়, সেটি চিরন্তন হতে পারে না। এটি খুবই সঠিক তর্ক কিন্তু সম্পূর্ন রূপে সঠিক নয়।  কারণ জন্ম বা মৃত্যু দেহের হয়। আত্মার জন্ম কোনো ধর্ম গ্রন্থে নেই। হিন্দু ধর্মে একে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করে। 

কোরআন মতে আল্লাহ তাআলার মধ্যে যে সকল দোষ, গুন ও বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো ইশ্বরের মধ্যে নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রেই ইসলামের আল্লাহ তাঁর নিজ সত্তার বিরোধী রূপে দেখা যায়। আল্লাহ নিজেকে পরম করুণাময় দয়ালু বললেও তাঁর মধ্যে ক্রোধ, দ্বেষ, ঈর্ষার মত মানবীয় গুণ লক্ষ্য করা যায়। অনেকে এঁকে আল্লাহর অভিভাবকত্ব বলেন। কিন্তু অভিভাবক কখনই শাস্তি হিসেবে নরকের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে মারার কথা বলবে না।

 হিন্দু ধর্মেও স্বর্গ নরকের কথা আছে। দেবতারাও ক্রোধ করেন। কিন্তু সেই সব কিছুই ইশ্বরের লীলা (নাটক)। 

যেমন, মা লক্ষ্মীর সৃষ্টির আদি কালে শ্রী হরির নরম হাতের স্পর্শ করতে করতে ভেবে ছিলেন এই নরম হাতে কিভাবে তিনি জগৎ ধারণ পোষন করেন? সবই তো আমার সম্পদ। সেই ভ্রম ভাঙ্গার জন্য শ্রী হরি জয় ও বিজয় নামক তাঁর এই দুই পর্ষদকে হিরণ্যকাশ্যপ, রাবণ, কংস রূপে প্রেরণ করেন এবং নিজে নরসিংহ, রাম ও কৃষ্ণ অবতার রূপে লীলা করেছেন। এই লীলায় তাঁর ক্রোধ, ঈর্ষা, দ্বেষ বিন্দুমাত্র ছিলো না।

ওপর দিকে আল্লাহ নিজেকে পরম কৃপালু, পরম দয়ালু বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঠিক সেই সময় তিনিই আবার অবিশ্বাসী, কাফিরদের ঘৃণার চোখে দেখেন। শুধু অন্য দেবতার উপাসক হওয়ার কারণে আল্লাহ নরকের ভয় দেখিয়ে শাসন করে। তাই, ইসলামের সত্যতার প্রতি সন্দেহ উদ্রেগ হয়।

আলো ও আধার যেভাবে একসাথে থাকতে করতে পারে না, সেই ভাবেই ঘৃণা আর কৃপা, একই সাথে থাকতে পারেনা। কোনো মুমীনের জানা থাকলে দয়া করে এই যুক্তিটি স্পষ্ট করবেন।

যিনি স্রষ্টা তিনি তো জানবেন কেন কোনো ব্যাক্তি পাপ করে। তিনি পাপীর প্রতি ক্ষমা ও দয়া দেখাবেন। যীশুর আত্ম বলিদানে সেই পাপ ক্ষমার মহত্ব দেখা যায়। হিন্দুদের পুনর্জন্মের ব্যবস্থায় ঈশ্বরের সেই করুণা দেখা যায়। এক জন্মে না হলে কোনো এক জন্মে মানুষ পাপমুক্ত হয়ে পরম ধামে যাবে। 

আল্লাহর সত্তা  

কোরআনে আল্লাহ তাঁর নিজের সত্তাকে চারটি গুণের মাধ্যমে গুণান্বিত করেছেন। 

(১) তিনি পৃথিবী ও আকাশের রাজত্বের মালিক। 

(২) তিনি কাউকে সন্তান হিসাবে গ্রহণ করেন নি। (এটা ইহুদী ও খৃষ্টান বিশ্বাসের বিরুদ্ধে  কথা বলে।)

 (৩) তাঁর রাজত্বে কোন শরীক বা সহকারী নেই।  (এটা হিন্দু, গ্রীক, রোমান দেবী দেবতার বিরুদ্ধে কথা বলে।)

(৪) তিনি প্রত্যেক জিনিষ সৃষ্টি করেছেন এবং যত ধরণের জীব রয়েছে, তার সবগুলোই তিনি সৃষ্টি করেছেন। 

এই চারটি বিন্দুতে আমরা আজকে এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করবো। আলোচনার আগে বলে রাখি, ঈশ্বর এবং আল্লাহ একই, এই শর্ত মেনে অগ্রসর হবো। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে বিচার করার চেষ্টা করবো।

হাদিসের শিক্ষা অনুসারে ঈমানদারদের বলা হয়েছে :

‘তোমারা আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করবে, তবে আল্লাহ সম্পর্কে নয়। কারণ তোমরা কখনো তাঁর প্রতি সঠিক বিচার করতে সক্ষম হবে না।’ —অথচ অন্যের ইশ্বর কেমন, সাকার নাকি নিরাকার এই নিয়েই মুসলীমরা ব্যাস্ত থাকে। কারণ কোরআনকে প্রচার করতে হলে। তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা দরকার হয়ে পরে।

আল্লাহ পৃথিবী ও আকাশের রাজত্বের মালিক

তিনি অর্থাৎ আল্লাহ বা ঈশ্বর পৃথিবী ও আকাশের রাজত্বের মালিক। একথা নিয়ে কারো কোনো আপত্তি বা বিতর্ক নেই। প্রত্যেকে এটাই বিশ্বাস করেন যে, ইশ্বর সব কিছুর কর্তা। তাই আল্লাহ যদি ইসলামের দৃষ্টিতে ঈশ্বর সত্তা হন তবে তিনি সমগ্র পৃথিবী ও আকাশের মালিক। মালিক থাকলে তাঁর চাকর বা দাস থাকবে। কারণ চারক বা দাস না থাকলে মালিকানা সে কার ওপর চালাবে? তাই তিনি মানুষ, জিন ও ফরিস্তাদের তৈরী করেছেন তাঁর খিদমত করার জন্য।

অপরদিকে বাইবেলের যীশু খ্রীষ্ট যিনি ঈশ্বরের সন্তান রূপে বা মানুষ স্বরূপে নিজেকে প্রকট করেছন। মুসলমানরা তাহাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বা নবী হিসেবে প্রচার করেন।  কারণ আল্লহর কোনো সন্তান নেই। ইতিম্যেই আমরা জানবো আল্লাহ কিভাবে প্রতিনিধি বা সহকারী ছাড়াই জগতের সব কাজ করতে পারে। 

আল্লাহর কোন সন্তান বা সন্ততি নেই

আল্লাহর কোন সন্তান বা সন্ততি নেই: আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا

‘‘আর বলো, সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেন নি৷ তাঁর সার্বভৌমত্বে কোনো অংশীদার নেই। তিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোনো সাহায্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। তাঁর যথাযথ বড়ত্বব বর্ণনা করো’’। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ১১১)

এই আয়াতে সে সমস্ত বানী ইসরাঈল বা মুশরিকদের জন্য বলা হয়েছে যারা বিভিন্ন দেবতা ও জ্ঞানী গুণী মহামানবদের বিশ্বাস করতো। তাদের বিশ্বাস ছিলো যে, ঈশ্বর নিজের সার্বভৌম কর্তৃত্বের এবং নিজের রাজত্বের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বিভাগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের দিয়ে দিয়েছেন।

কোরআন তাদের এই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আরোপ পেশ করে যে, আল্লাহ এমন নন যে, তিনি একটি কাজ করতে গিয়ে অপর আরেকটি কাজ করতে অসমর্থ হয়ে পড়েন। তিনি একই সাঠে সব করেন। সুতরাং তার সহকারী কেন লাগবে? 

এক দিকে আল্লাহর কোনো সহকারী নেই, তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। অপর দিকে তিনি কোরআন হযরত মুহাম্মদের কাছে জিব্রাইলকে কেন প্রেরণ করেছেন? আল্লাহ বার বার নবীদের প্রেরণ করছেন । এটাই পরস্পর বিরোধী। 

আল্লাহর তুল্য অন্য কোন মাবুদও নেই।

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ আল্লাহর অস্তিত্বকে সবার উপরে রেখেছে। কোরআন মতে, আল্লাহর সাথে যদি আর কোন দেবতা থাকতো তাহলে দেবতা নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেতো এবং একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হতো৷  অর্থাৎ কোরআন অনুযায়ী তাদের আল্লাহ ঈর্ষা রহিত নয়। এটা কোনো সামান্য ব্যাক্তি নয় সয়ং আল্লাহ যিনি মানুষকে পরস্পরের প্রতি হিংসা ও ঈর্ষা বর্জন করতে বলেন তিনি এমন কথা বলছেন। এই দেখুন প্রমাণ:

‘‘আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি এবং তাঁর সাথে অন্য কোন মাবুদও নেই৷ আল্লাহর সাথে যদি আর কোন মাবুদ থাকতো তাহলে প্রত্যেক মাবুদ নিজের সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে যেতো এবং একজন অন্যজনের উপর চড়াও হতো৷ এরা যেসব কথা তৈরী করে তা থেকে আল্লাহ পাক-পবিত্র৷ প্রকাশ্য ও গুপ্ত সবকিছুই তিনি জানেন৷ এরা আল্লাহর জন্য যে শরীক নির্ধারণ করে, তিনি তার অনেক উর্ধ্বে’’। (সূরা মুমিনুনঃ ৯১-৯২)

তিনি প্রত্যেক জিনিষ সৃষ্টি করেছেন

যেহেতু ঈশ্বর মূল এবং অভিন্ন তাই তাঁর সৃষ্টি ভিন্ন পদার্থ হতে পারে না। তিনি প্রত্যেক জিনিস সৃষ্টি করেছেন। তিনি আকাশ, পৃথিবী, মানুষ, বাঘ , ছাগল, মুরগী তৈরী করেছেন। কিন্তু মৌলিক পদার্থ গুলো কিভাবে এসেছে, সেগুলো কোরআনে বলা নেই। যদি এই জগতের পদার্থ সমূহ আল্লাহ থেকে ভিন্ন কোন পদার্থ দ্বারা তৈরি হয় তবে প্রশ্ন আসে সেই ভিন্ন পদার্থ কোথা থেকে এসেছে? (এর উত্তর জানতে Click here এ ক্লিক করুন।)

এর সহজ উত্তর দেওয়া যেতে পারে আল্লাহর ইচ্ছা থেকে। আল্লহ যখনই যা ইচ্ছা করেছে তখনই সেটা প্রকট হয়েছে। তিনি যখন বলেছেন, "পৃথিবী তৈরি হও" তখনই পৃথিবী তৈরি হয়ে গেছে। তিনি যখন বলেছেন, "আকাশ তৈরি হও" তখনই আকাশ তৈরি হয়ে গেছে। তিনি যখন বলেছেন, "জল তৈরি হও" তখনই জল তৈরি হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন আসবে তার এই ইচ্ছাগুলো কিভাবে সম্ভব হয়েছে? নিশ্চয়ই কোনো কর্তা আছেন যিনি ওই আল্লাহর জন্য উপাদন গুলো আগে থেকেই তৈরী করে রেখেছেন। আর এই সব সৃষ্টির আগে আল্লহ এবং এই উপাদনগুলো কোথায় ছিলো?(এর উত্তর জানতে Click here এ ক্লিক করুন)।

এই প্রশ্নের জবাব মুসলিমরা দিতে পারে না। কিন্তু হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র। তারা এরকম উত্তর দেয়। 

আল্লাহ তার নিজ সর্ম্পকে পবিত্র কুরআনে যতোটুকু জানিয়েছেন সেটুকু নিয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হবে। কারণ অন্যাথায় মানুষের বিভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আল্লাহ্ নয় আল্লাহর সৃষ্টি সর্ম্পকে বেশি বেশি ভাবতে ও চিন্তা করতে হবে। কারণ আল্লাহ বলেছেন , সকল সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে আল্লাহর নির্দশন। 

হিন্দু ধর্ম অনুসারে ঈশ্বর নিজেকেই জগত রূপে ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকট হয়েছেন। ভালো মন্দ সব তাঁর থেকেই এসেছে এবং তাঁর মধ্যেই লীন হবে। এই ভালো মন্দ আর কিছুই না গ্রহন যোগ্যতা। মাছের জন্য বায়ুতে শ্বাস নেওয়া সম্ভব নয়। নর্দমার কীটের জন্য স্বচ্ছ জলে জীবন ধারণ সম্ভব নয়। তাই ভালো বা মন্ধ এই ভেদ জ্ঞান ইশ্বরের নেই। অসুরেরাও তার পূজা করে আশীর্বাদ লাভ করেন। দেবতারাও তার পূজা করে আশীর্বাদ লাভ করেন। এই জন্য আল্লাহ বৈদিক শাস্ত্র এবং দর্শনের দিক থেকে প্রকৃত ইশ্বর নন।

পরিশিষ্ট

যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং একই সঙ্গে তিনি ঈশ্বর —এই কথাটা হিন্দু ধর্মের অদ্বৈত দর্শন দিয়ে বিচার করলে সত্য বলে মনে হবে। কিন্তু ইহুদী বা খ্রিষ্টানদের ধর্ম দর্শন দিয়ে বিচার করলে বিরোধ উৎপন্ন হয়। সেই বিরোধ এবং সন্দেহ গুলোই মুসলমানদের তরফ থেকে আসে।


হিন্দু ধর্ম দর্শন অনুযায়ী আত্মা এবং পরমাত্মা এক। ভিন্নতা শুধু মায়ার বোধে। মায়া বদ্ধ আত্মা নিজেকে ও জগতকে সত্য বলে মনে করে এবং 'আমি কর্তা' এই চেতনা নিয়ে জীবিত থাকে। কিন্তু আমিত্ব মুক্ত জীব সকলের মধ্যে ইশ্বর দর্শন করে 'আমি কর্তা' এই ভাবনা থেকে মুক্ত থাকেন। 

যিশু খ্রিস্ট বলতেন, "আমি পিতার আদেশে করছি", "পিতা আমার দ্বারা করাচ্ছেন।"আমি পিতার মধ্যে আছি, তোমরা আমার দেহ ধারন কর," "স্বর্গ রাজ্য তোমার ভেতরে আছে"। —এভাবেই আমরা যিশুকে এবং নিজেদেকে ইশ্বরের সন্তান বলতে পারি। যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, "তারা আমার থেকেও বড় কাজ করবে। (যোহন 14:12)"। তাঁকে যদি সত্যিই ঈশ্বর মেনে নিতে হয় তবে কেউ কি ঈশ্বরের থেকেও বড় কাজ করতে পারে?  যীশু খ্রীষ্টের কথাকে যথা রূপে গ্রহন করলে অর্থের অনর্থ হবে। তাই পাঠক গন বৈদিক বাঙ্ময় ও  দর্শনের গ্রহনযগ্যতা সর্বোপরি। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds

Advertisement

Hostinger Black Friday Sale – Starting from ₹129/mo Promotional banner for Hostinger Black Friday deal: AI website builder, free domain, extra months. Pre-book now. Black Friday Sale Bring Your Idea Online With a Website From ₹129.00/mo + Extra Months & Free Domain Pre-Book Now HinduhumAds