যখন প্রথমবার আধার কার্ড এসেছিলো তখন, এটি একটি নিরাপদ ব্যবস্থা হিসেবে মনে করা হয়ে ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেমন আধার ডেটার লিক, Fake আধার কেন্দ্র এবং ছদ্ম আধার কার্ডের ধরা পরা পড়া।
ফলস্বরূপ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও, আগামী সেন্সাস এবং সমীক্ষায় আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে না। শুধু আধারই নয়, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এবং প্যান কার্ডও নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়।
স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড কি ?
এই সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার 'স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড' চালুর পরিকল্পনা করছে। জাতীয় জনগণনা এবং জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর, বৈধ নাগরিকদের জন্য এই কার্ড ইস্যু করা হবে। এটি ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য একমাত্র এবং চূড়ান্ত নথি হবে। এই কার্ডটি একটি নিরাপদ এবং আধুনিক, প্রযুক্তি-সজ্জিত পরিচয় পত্র হবে, যা নকল করা প্রায় অসম্ভব। এর মাধ্যমে নাগরিকরা সহজেই তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে পারবেন এবং সরকারি স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন।
পুরনো কার্ডগুলোর কী হবে?
অনেক মানুষের মনে একটি প্রশ্ন উঠেছে: নতুন স্মার্ট কার্ড চালু হলে পুরনো নথি যেমন আধার, ভোটার অথবা প্যান কার্ডগুলোর কী হবে?
সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে এই পুরনো কার্ডগুলো বাতিল করা হবে না। প্রতিটি কার্ড তার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে থাকবে।
- আধার কার্ড: ব্যাংকিং এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
- ভোটার কার্ড: ভোট দেওয়ার জন্য অপরিহার্য থাকবে।
- রেশন কার্ড: সরকারি বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য শস্য পেতে প্রয়োজনীয় হবে।
- প্যান কার্ড: আয়কর সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হবে।
স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হবে কেবল ভারতীয় নাগরিকতার প্রমাণ হিসেবে কাজ করা। এটি পরিচয় যাচাইকরণের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং নিরাপদ করে তুলবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন